ভারত-ভিয়েতনাম থেকে চাল কিনবে সরকার
প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৪:০১
আপডেট:
৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৩২

ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি পর্যায়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ সংক্রান্ত দুইটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক জানান, ভারতে প্রতি টন চালের দাম পড়বে ৪৪৩. ৫০ ডলার। ভিয়েতনামের প্রতি টনের দাম পড়বে সেদ্ধ ৫২১ ডলার এবং আতপ চাল ৪৯৪ ডলার।
অতিরিক্ত সচিব আরও জাবনান, বুধবার (৩১ আগস্ট) ক্রয় কমিটির টেবিলে উত্থাপিত প্রস্তাবসহ মোট ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে সবগুলো প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টেবিলে উত্থাপিত প্রস্তাবের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ভারত থেকে জিটুজি পর্যায়ে ১ লাখ টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪১৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। ৭০ হাজার টন লটের চাল আসবে পোর্টের মাধ্যমে। প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৪২. ১৩২৫ টাকা। ৩০ হাজার টন লটের চাল ল্যান্ডের মাধ্যমে আসবে। এতে প্রতি কেজি ৪০.৭০ টাকা। আর প্রতি টনের দাম পড়বে ৪৪৩.৫০ ডলার।
ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি পর্যায়ে ২ লাখ টন থাই ননবাসমতি চাল এবং ভারত থেকে ৩০ হাজার টন আতপ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ননবাসমতি চাল প্রতি কেজি ক্রয় মূল্য ৪৯.৪৯ টাকা এবং আতপ চাল ৪৬.৯৩ টাকা। সুপারিশকৃত দর দাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ভারতের সেন্ট্রাল গভর্মেন্ট কনজোমার কর্পোরেশন সোসাইটি লিমিটেড দিল্লি থেকে ক্রয় করা হবে। ননবাসমতি প্রতি টন ৫২১ মার্কিন ডলার।
৩০ হাজার টন আতপ চাল প্রতি টন ৪৯৪ মার্কিন ডলার। মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার। সর্বমোট ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানিতে খরচ হবে ১১ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ১৩০ কোটি ৬৯ টাকা।
সম্পর্কিত বিষয়:
চাল
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: