অর্থ আত্মসাৎ: কৃষি ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তাসহ সাতজনের কারাদণ্ড
প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫৪
আপডেট:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:১৩
সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাদারগঞ্জ শাখার সাবেক দুই ব্যবস্থাপক সহ সাতজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মাদারগঞ্জ শাখার সাবেক দুই ব্যবস্থাপক আলী আহাম্মদ, আজিজুল হক, দ্বিতীয় কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
অন্য তিনজন হলেন, ব্যাংকের গ্রাহক শফিকুল ইসলাম মাদারগঞ্জের জোড়খালী গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে। তিনি জোড়খালী বাজারের শিপন কসমেটিকস দোকানের মালিক, আশরাফ হোসেন মাদারগঞ্জ উপজেলার উত্তর জোড়খালী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। দুর্নীতির দায়ে চাকুরিচ্যুত কৃষি ব্যাংকের এ কর্মকর্তা পরে ব্যাংকে দালালি করে আসছিল এবং মো. সোলায়মান মাদারগঞ্জের জোড়খালীর বাসিন্দা, তিনিও ব্যাংকের দালালি করে আসছিলেন।
দুদকের পিপি আইনজীবী লুৎফর রহমান রতন জানান, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মাদারগঞ্জ শাখার সাবেক দুই ব্যবস্থাপক আলী আহাম্মদ, আজিজুল হক, দ্বিতীয় কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন।
“এক গ্রাহকের হিসাবে টাকা না থাকার পরেও পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করেন তারা।”
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর দুদক টাঙ্গাইলের সমন্বিত অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আহমেদ বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা করেন। মামলায় ব্যাংকের চার কর্মকর্তা, এক গ্রাহকসহ সাত জনকে আসামি করা হয়।
আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায়ে দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় সাবেক ব্যবস্থাপক আলী আহাম্মদকে ২১ বছর, সাবেক ব্যবস্থাপক আজিজুল হককে ১৪ বছর, দ্বিতীয় কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকে ২১ বছর, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়াও রায়ে প্রত্যককে অর্থ দণ্ডও করা হয়।
এছাড়া ব্যাংকের গ্রাহক শফিকুল ইসলাম, ‘প্রতারক’ আশরাফ হোসেনকে ১৭ বছর করে এবং মো. সোলায়মানকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যককেও অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করা হয় বলেন আইনজীবী লুৎফর রহমান।
ব্যাংকের দণ্ডপ্রাপ্ত চার কর্মকর্তা, সোলায়মান এ রায় প্রদানের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শফিকুল ও আশরাফ পলাতক রয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: