শনিবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৫, ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


কুয়েতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ


প্রকাশিত:
১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৩৩

আপডেট:
১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৩৫

ফাইল ছবি

রাজবাড়ীতে কুয়েতে নিয়ে ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১০ জনের কাছ থেকে সাড়ে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক দালাল চক্র। প্রতারণার শিকার হয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

এ ঘটনায় দালালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তভার দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে। মামলার তদন্তে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সত্যতা পেয়েছে সিআইডি।

ভুক্তভোগী সোহান মৃধা, সেহান মোল্লা, মাসুদ মোল্লা, ওয়াসিম শেখসহ অন্যরা জানান, তারা সবাই কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা এলাকার আদম ব্যবসায়ী মো. হারুন তাদের এলাকার জামাই। রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সামনে হারুনের ওষুধের দোকানও রয়েছে। হারুন তাদের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে পাঠানোর আশ্বাস দেন। দেড় মাসের মধ্যে কুয়েতে পাঠানোর কথা বলে তাদের ১০ জনের কাছ থেকে সাড়ে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন হারুন। অথচ দেড় বছরেও তাদের কুয়েতে পাঠাননি তিনি। টাকা চাইলেই করেন নানান টালবাহানা, দেন হুমকিও।

টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত হারুন বলেন, কুয়েতে পাঠানোর জন্য আমি ১০ জনের কাছ থেকে সাড়ে ২২ লাখ টাকা নিয়ে আমার কাছের মানুষ আছমত ফকিরকে দিয়েছি। আছমত ফকিরই মূলত তাদের কুয়েতে পাঠাবে। তবে এখন সে বার বার ডেট দিয়ে ঘুরাচ্ছে। আমি বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।

এদিকে এ ঘটনায় হারুনের বিরুদ্ধে গত ১০ আগস্ট রাজবাড়ীর কালুখালী আমলি আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী সোহান মৃধার বাবা জলিল মৃধা। আদালতের নির্দেশে ভুক্তভোগীদের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করেছে সিআইডি। তদন্তে হারুন ও আছমত ফকিরের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার সত্যতা পেয়েছে সংস্থাটি।

সিআইডি রাজবাড়ী কার্যালয়ের ইনচার্জ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আমানউল্লাহ আমান বলেন, ভুক্তভোগী সোহান মৃধার বাবা জলিল মৃধা বাদী হয়ে হারুনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে আমরা মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে দেখি, হারুন টাকা নিয়েছে আছমত ফকির নামে একজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। আছমত ফকিরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় আগের একটি প্রতারণা মামলার তথ্যও তদন্তে উঠে এসেছে। যে কারণে আমরা হারুন ও আছমত ফকিরকে অভিযুক্ত করে আদালকে চার্জশিট দাখিল করেছি।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top