নৌকায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩
প্রকাশিত:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১১:৫৯
আপডেট:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৫:৫৫

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে তিনজনে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোরের দিকে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবদুল গনি খাঁ (৪৫) নামের ওই জেলের মৃত্যু হয়।
গনি খাঁ জেলার রায়পুর উপজেলার চর বংশি ইউনিয়নের চর গাসিয়া পুরাতন বেড়ী এলাকার মৃত কালা খাঁর ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকালে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে বলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌকার মাঝি দেলোয়ার হোসেন খাঁ। তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ চারজনের মধ্যে তিনজনই মারা গেলেন।এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এর আগে শনিবার রাতে আমজাদ হোসেন পাটোয়ারী এবং মঙ্গলবার ভোরে ফারুক হোসেন হালদার নামে দুই জেলের মৃত্যু হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চরলক্ষ্মী ব্রীজঘাটের মাছ ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে ট্রলারে দুপুরের রান্নার চুলায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আগুনে আবুল খায়ের (৪০), মো. ফারুক হোসেন হালদার (৩৯), আবদুল গনি খাঁ (৪৫) ও আমজাদ হোসেন পাটোয়ারী (৪২) নামের ৪ জেলে দগ্ধ হন।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির উপজেলা সভাপতি আল-হেলাল জানান, দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাদেরকে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ৪ জনকেই ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেছিল নোয়াখালী সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত শনিবার রাতে আমজাদ হোসেন পাটোয়ারী এবং মঙ্গলবার ভোরে ফারুক হোসেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান। সবশেষ বৃহস্পতিবার ভোরে আবদুল গনি খাঁ মারা যান। দগ্ধ ৪ জেলের মধ্যে এখন আবুল খায়েরও অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম বলেন, আবদুল গনি খাঁ মৃত্যুর বিষয়টি ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি এবং তার স্বজনরাও জানিয়েছেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: