গোপালগঞ্জে সহিংসতায় ৪টি হত্যা মামলা করল পুলিশ, আসামি ৫৪০০
প্রকাশিত:
২০ জুলাই ২০২৫ ১৯:০৭
আপডেট:
২০ জুলাই ২০২৫ ২২:৪৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষ ও সহিংসতায় নিহতের ঘটনায় আরও চারটি মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫ হাজার ৪শ জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় পৃথক চারটি হত্যা মামলা করে।
সংঘর্ষ ও সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫ নিহত হন। নিহতরা হলেন- শহরের উদয়ন রোডের দীপ্ত সাহা (২৫), টুঙ্গিপাড়ার সোহেল রানা মোল্লা (৩০), বিসিক এলাকার রমজান কাজী (১৭) ও সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার বেপারীপাড়ার ইমন তালুকদার (১৭)।
এছাড়া ১৮ জুলাই (শুক্রবার) রাতে সহিংসতার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ শহরের থানাপাড়ার রমজান মুন্সি (৩৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জানা যায়, নিহত দীপ্ত সাহার পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই শামীম হোসেন, সোহেল রানার পক্ষে এসআই আবুল কালাম আজাদ, রমজান কাজীর পক্ষে এসআই আইয়ুব আলী ও ইমন তালুকদারের পক্ষে এসআই শেখ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক চারটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ চারটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় প্রত্যেকটিতে অজ্ঞাত ১ হাজার ৪শ থেকে ১ হাজার ৫শ জন এবং আরেকটি মামলায় অজ্ঞাত ৮শ-৯শ জনকে আসামি করা হয়েছে। চারটি হত্যা মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হলো ৫ হাজার ৪শ জন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলায় গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ৯ জন ও কোটালীপাড়ায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান ও কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ৩২১।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষ ও সহিংসতায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ ও চারজন নিহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট আসামি ৮ হাজার ৪০৮ জন। এর মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি ৩৫৮ জন।
রোববার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। জরুরি অবস্থার মধ্যে গোপালগঞ্জ থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে পরিবহণ চলাচল স্বাভাবিক ছিল। শহরের মধ্যে বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা চলাচল করে। তবে যাত্রী সংখ্যা ছিল কম। জেলায় কোথায় সভা, সমাবেশ ও জরুরি অবস্থা ভঙ্গের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
জরুরি অবস্থার আওতামুক্ত থাকায় শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে এইচএসসি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কাঁচাবাজার ফার্মেসি, মুদি মাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকলেও অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: