সিলেটে গরুর লাথি ও মাংস কাটতে গিয়ে ৭৬ জন আহত
প্রকাশিত:
৭ জুন ২০২৫ ২০:৪৫
আপডেট:
৮ জুন ২০২৫ ০৫:১৫

সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় দুর্ঘটনায় অন্তত ৭৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ২৬ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসব আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, আহতদের বেশিরভাগই কোরবানির সময় অসাবধানতাবশত দা কিংবা ছুরি ব্যবহারে, অথবা গরুর লাথি ও শিংয়ের আঘাতে আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার পেছনে মূলত অদক্ষতা ও অভিজ্ঞতাহীনতা কাজ করেছে। অধিকাংশ আহত ব্যক্তি পেশাদার কসাই নন।
নগরীর মজুমদারী এলাকার বাসিন্দা বজলুল আমীন বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে গরু জবাই করছিলাম। আমি গরুর পা চেপে ধরেছিলাম। হঠাৎ গরুটি পেছনে লাথি মারলে সেটা সোজা আমার পেটের নিচে লাগে। তীব্র ব্যথা অনুভব করায় সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চলে আসি।
সিলেট সদর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল সত্তার বলেন, আমার বয়স হয়েছে। তবুও প্রতিবছর কোরবানির কাজ নিজে করি। এবার ছুরি দিয়ে মাংস কাটার সময় হঠাৎ হাত ফসকে গিয়েছিল। ছুরির ধার পায়ের আঙুলে লাগে। প্রচণ্ড রক্তপাত হচ্ছিল। পরে হাসপাতালে এসে সেলাই করতে হয়েছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ঈদের দিনে এমন পরিস্থিতিতে আমরা সব সময়ই বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। আজ সকাল থেকেই আমি নিজে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম তদারকি করেছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ৭৬ জন আহত রোগী এসেছেন। এর মধ্যে ২৬ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগই দুর্ঘটনাবশত আহত হয়েছেন কারও দা বা ছুরি ফসকে শরীরে লেগেছে। কারও গরুর আঘাতে চোট লেগেছে। গুরুতর রোগীদের রক্তপাত বন্ধ, সেলাই ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আমরা দ্রুত ও যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি, সবাই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: