গাজীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
 প্রকাশিত: 
                                                ১৩ জুন ২০২৪ ১২:৫২
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৩৬
                                                
 
                                        গাজীপুরের কাপাসিয়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সরকারি কাজে বাধা, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় টোক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এম এ জলিলসহ (৬৫) দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভোররাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার চেয়ারম্যান এমএ জলিল উপজেলার উজলী দিঘিরপাড় গ্রামের মোহর আলী ব্যাপারীর ছেলে। এছাড়া এ ঘটনায় একই গ্রামের আব্দুস ছোবহানের ছেলে ফাইজ উদ্দিনকে (৫৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।
এমএ জলিল কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে কাপাসিয়ার উজলী দিঘিরপাড় বাজারে ইজারা না নিয়ে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে গরুর হাট বসিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরে ওই হাটের ইজারাদারকে হাট সরিয়ে নিতে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুল জব্বারের ছেলে বাজার ইজারাদার আমান উল্লাহকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এমএ জলিলের নেতৃত্বে স্থানীয়রা পুলিশের কাছ থেকে আমান উল্লাহকে ছিনিয়ে নেয় এবং পুলিশকে মারধর করে। পরে বুধবার রাতে ইউএনও ও পুলিশ কনস্টেবলকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় টোক তদন্ত কেন্দ্রের এ এসআই লুৎফুল রহমান বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের নামে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে দায়ের হওয়া সেই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান এমএ জলিলসহ ফাইজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে বাধা এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। ওই ঘটনায় জলিল চেয়ারম্যানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বুধবার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম লুৎফর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়েছিলেন কাপাসিয়ার উজলী দিঘিরপাড় বাজারে। সেখানে এক আসামিকে সাজা দেন ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের বিচারক। সেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি নিয়ে আসার প্রাক্কালে সেখানে এই আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের মারপিট করে, সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। পরে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: