সুন্দরবনে মিলল ১৩১ বন্য প্রাণীর মরদেহ
 প্রকাশিত: 
                                                ১ জুন ২০২৪ ১১:৫৭
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ২২:৩৬
                                                
 
                                        ঘূর্ণিঝড় রেমালের ভয়াবহ তাণ্ডবে সুন্দরবনে ১২৭টি হরিণসহ ১৩১টি বন্য প্রাণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এর আগে ঝড়ের পর থেকে বুধবার পর্যন্ত বনের বিভিন্ন চর থেকে ৯৬টি হরিণ এবং ৪টি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ। উদ্ধার করা মৃতদেহগুলো মাটি চাপা দিয়েছেন বনরক্ষীরা।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে শনিবার (১ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা ধরে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল যে তান্ডব চালিয়েছে তাতে সুন্দরবনে অবকাঠামোয় প্রায় ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঝড় পরবর্তী সময়ে ঝড়ের পরে আহত ১৮টি হরিণ উদ্ধার করার পর সুস্থ করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। বন বিভাগের বিভিন্ন স্টেশনের কাঠের জেটি, বনরক্ষীদের ঘর, স্টেশন ফাঁড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কারণে সুন্দরবনের অভ্যন্তরের মিষ্টি পানির আধার শতাধিক পুকুর লবণ পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্য প্রাণী ও বনরক্ষীদের খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
সি এফ আরও বলেন, ঝড়ের সময় জলোচ্ছ্বাসের কারণে গাছপালার চেয়ে বন্যপ্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কারণ দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা ধরে সুন্দরবনে ১০ থেকে ১২ ফুট জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত ছিল। এ সময় নদ-নদীতে ঘূর্ণি বাতাসের সঙ্গে প্রচণ্ড ঢেউ ছিল। ফলে হরিণসহ সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাছে গাছে অসংখ্য পাখির বাসা ছিল। যাতে ডিম ছিল সেগুলো নষ্ট হয়েছে। সব প্রাণীই তাদের আবাসস্থল হারিয়েছে।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: