বুধবার, ১লা মে ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকার গর্ভপাত, হাসপাতাল মালিকের স্ত্রী গ্রেফতার


প্রকাশিত:
১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:১০

আপডেট:
১ মে ২০২৪ ০০:২৭

ছবি-সংগৃহীত

মাদারীপুরের রাজৈরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের পর ৮ মাসের গর্ভবতী প্রেমিকার গর্ভপাত ঘটিয়ে নবজাতককে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। পরে পুলিশ ওই হাসপাতাল মালিকের স্ত্রী ও নার্স শাহিদা আক্তারকে (২৮) গ্রেফতার করে। তবে মামলার প্রধান আসামি প্রেমিক শামীম হাওলাদার (২১), আকাশী বেগম (২৫), আমিনুর হাওলাদার (৩০) ও গ্রাম্য ডাক্তার নিজাম (৪৫) রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

ঘটনাটি ২৫ নভেম্বর ঘটলেও একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে শুক্রবার এটি প্রকাশ পায়।

স্থানীয়রা জানান, এই হাসপাতালে ইতিপূর্বে অপচিকিৎসায় বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়। পরে বিভিন্ন উপায়ে আপস করে নেয়। এ ঘটনাটিও পূর্বের ন্যায় আপস করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাখুল্লা গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদারের প্রেমের ফাঁদে পড়েন ওই তরুণী। পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন শামীম। একপর্যায়ে তরুণী গর্ভবতী হলে শামীম গা ঢাকা দেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত ২৫ নভেম্বর ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে টেকেরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যায় শামীমের ভাবি আকাশি বেগম। এর পর গ্রাম্য ডাক্তার নিজাম ও নার্স শাহিদার সাহায্যে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে ৮ মাসের নবজাতককে হত্যা করা হয়। পরে খবর পেয়ে তাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা। এ ঘটনায় ২৭ নভেম্বর তার বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে রাজৈর থানায় একটি মামলা করেন।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, প্রায় এক বছর ধরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আশ্বাসে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ায় বিয়ের চাপ দিলে সে গড়িমসি করতে থাকে। ২৫ নভেম্বর বিকালে প্রেমিক শামিমের ভাবি (আকাশি) আমাকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এর পর কিছু না বলেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় সে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

রাজৈর থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার ঘোষ, এ মামলায় টেকেরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের মালিকের স্ত্রী ও নার্স শাহিদা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।


সম্পর্কিত বিষয়:

হাসপাতাল

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top