শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫, পাশাপাশি দাফন হলো বাবা-ছেলে ও নাতনির


প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৩৩

আপডেট:
২৬ নভেম্বর ২০২৩ ১১:৩৯

ছবি-সংগৃহীত

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়ার বেলপুকুর এলাকায় অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় নাটোরের নিহত ৫ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৩ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের অন্য এক সদস্যের জানাজা বেলা ১১টায় ও অটোরিকশা চালকের জানাজা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার চককান্তপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠে দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের ৪ জনের ৩ জন ইউনুস আলী, তার ছেলে লাবু হোসেন ও নাতনি শারমিন খাতুনের জানাজা নামাজ শেষে চককান্তপুর পশ্চিমপাড়া গোরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। জানাজা নামাজ পড়ান নিহত ইউনুস আলীর নাতি হাফেজ সাইফুল ইসলাম।

অন্যদিকে একই পরিবারের ইউনুস আলীর মেয়ে পারভিন খাতুনকে বেলা ১১টায় স্বামীর বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার খীদির চাপিলা গ্রামে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বর) আব্দুর রহমান।

অপরদিকে নিহত সিএনজিচালিত আটোরিকশাচালক মোখলেসুর রহমানকে বেলা সাড়ে ১১টায় একই ইউনিয়নের মুকিমপুর গ্রামের গোরস্থান প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে ওই গোরস্থানেই দাফন করা হবে বলে জানান চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বর) মো. রবিন ইসলাম।

এর আগে মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার চককান্তপুর গ্রামে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে রাতেই পারভিন খাতুনের মরদেহ তার স্বামীর বাড়ি চাপিলায় ও অটোরিকশাচালক মোখলেসুর রহমানকে মুকিমপুর গ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সকাল থেকেই নিহতদের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে ভীড় জামান স্থানীয় গ্রামবাসী। স্বজনদের আহাজারিতে চককান্তপুর গ্রামের বাতাস ভারি হয়ে উঠে।

নিহত লাবু হোসেনের স্ত্রী খালেদা বেগম নয় বছরের ছেলে নাছির ও দুই বছরের মেয়ে মাওয়াকে বুকে জড়িয়ে কান্না করছেন। মাঝে মাঝেই শোকে মুর্ছা যাচ্ছেন। বিলাপ করতে করতে নিহত লাবুর স্ত্রী খালেদা বেগম বলেন, তার শ্বশুর দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন। কিছুদিন পর পরই চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হতো।

শনিবার কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্য শ্বশুরকে নিয়ে তার স্বামী লাবু, দেবরের মেয়ে শারমিন এবং ননদ পারভিন সিএনজি যোগে রাজশাহী মেডিকেলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মারা যায়, শ্বশুরের সঙ্গে তিনি স্বামীকে হারিয়ে দুই সন্তান নিয়ে অথৈ সাগরে পড়লেন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top