শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ: গ্রেপ্তার হলেন আরেক আসামি মাহফুজ


প্রকাশিত:
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:১৬

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ০৭:১২

ছবি-সংগৃহীত

রাতের বেলা লুঙ্গি পরে পালাতে গিয়ে গোয়েন্দা জালে গ্রেপ্তার হয়েছেন সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামি মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত ছয় নম্বর আসামি।

সোমবার রাত ১২টার দিকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সমন্বয়ে কানাইঘাট থানা-পুলিশ জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে মাহফুজকে গ্রেপ্তার করে।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মাহফুজকে মঙ্গলবার মহানগরের শাহপরান থানায় হস্তান্তর করার পর আদালতে হাজির করা হতে পারে।

মাহফুজুর রহমান এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের স্মাতক (সম্মান) শ্রেণির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ছাত্রাবাসে ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মধ্যে তিনিই একমাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থী। তাঁর নামে ছাত্রাবাসে সিট বরাদ্দ ছিল। তবে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় সিটটি কলেজ কর্তৃপক্ষ বাতিল করেছে। মাহফুজের বাড়ি সিলেটের সীমান্ত উপজেলা কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের লামা-দলইকান্দি গ্রামে।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ একই দিন চারজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাহফুজ ও তারেককে ধরতে তৎপর ছিল পুলিশের একাধিক দল। এর সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতাও ছিল। এলাকায় আছেন—এমন তথ্যে সোমবার থেকে কানাইঘাট, জকিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর এলাকায় তৎপরতা চালানোর একপর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যে খবর পেয়ে হরিপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মাহফুজ পরনের লুঙ্গি ছিল। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে এই বেশ ধরেছিলেন। তবে তাঁর গন্তব্য কোথায় ছিল—এ বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।

মাহফুজ গ্রেপ্তারের মধ্যে দিয়ে এ নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকি আছেন শুধু তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক। সন্দেহভাজন দুজনসহ মামলায় মোট গ্রেপ্তার সংখ্যা ৭।


সম্পর্কিত বিষয়:

থানা পুলিশ ধর্ষণ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top