চট্টগ্রামের ডিসিকে ভোটের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
 প্রকাশিত: 
                                                ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:২০
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৫৩
                                                
 
                                        নির্বাচন কমিশন (ইসি) চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ‘মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে রিটার্নিং কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। শিগগিরই আপনারা জানতে পারবেন। তাকে সরিয়ে দেয়া হবে। তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া কঠিন। এ জন্য তদন্ত হতে হবে। এটা লঘু শাস্তি নয়। এ মুহূর্তে করণীয় একটাই, তাকে সরিয়ে দেয়া। তাকে সরিয়ে দিয়ে উপযুক্ত অন্য একজনকে নিয়োগ দেয়া।’
সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলে ডিসি মমিনুর রহমান ওই প্রার্থীর পক্ষে মোনাজাত ও ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন তাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে রাশেদা সুলতানা জানান, ‘বিদ্রোহী যারা আসছে তারা একই দলের। দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদ নির্বাচন নেই। এ অবস্থায় তো চলা যায় না। প্রশাসক আর নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য আছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলার পর আমরা নির্বাচন দিলাম। আমাদের কাজ শুধু নির্বাচনটা করা। তাই দলীয়ভাবে হচ্ছে কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। একজন দাঁড়াচ্ছে, আরেকজন দাঁড়াচ্ছেন না। কাজেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াটা বেআইনি নয়। আবার নির্বাচনে কেউ অংশ নিতে পারবে না, এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা তো নয়। আমরা চাচ্ছি সবাই নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কেউ যদি না আসে, কেমন করে তাদের আমরা আনব।’
কমিশনার জানান, ‘দেশে অনেক ঘটনাই ঘটছে, তা কারোরই আকাঙ্ক্ষিত নয়। ছোটবেলায় আমরা দেখেছি স্থানীয় নির্বাচন দলীয় নয়। কিন্তু অলিখিতভাবে অনেক কিছু হয়ে যায়। এটা বন্ধ করা কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোরই কাজ। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে এখন আমরা নির্দ্বিধায় আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এগুলো কিন্তু আমরা আমলে নেব না। এর আগেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’
সম্পর্কিত বিষয়:
নির্বাচন কমিশন


 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: