রেলের পরীক্ষা বাতিল চান ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা
 প্রকাশিত: 
                                                ৯ জুলাই ২০২৪ ১৩:১৫
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:০৬
                                                
 
                                        বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ওই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনের রাস্তায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান তারা।
সমাবেশে অংশ নেওয়া ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ রেলেওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ১০ম গ্রেডের গত ৫ তারিখে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
এসময় তারা ‘প্রশ্ন ফাঁসের পরীক্ষা, মানি না মানবো না’, ‘প্রশ্ন ফাঁসের পরীক্ষা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘রেলের পরীক্ষা, বাতিল চাই বাতিল চাই’ বলে স্লোগান দেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) দুই উপ-পরিচালক, দুই সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির মুখপাত্র (মিডিয়া) পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান জানান, গ্রেপ্তাররা ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ছিলেন। তারা একাধিক নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসেও জড়িত বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির ও নিখিল চন্দ্র রায়, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও সাজেদুল ইসলাম এবং সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী রয়েছেন।
এছাড়া আরও আছেন সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, প্রিয়নাথ রায়, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম ও বেকার যুবক লিটন সরকার।
পিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই এই চক্রের সদস্যরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতেন। ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন তারা। চক্রের সদস্যরা ওই পরীক্ষার আগের রাতে তাদের চুক্তি করা শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতনামা স্থানে রেখে ওই প্রশ্নপত্র ও তার উত্তর দিয়ে দেন।



 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: